আজ ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২’ উদ্ধোধন।


মোহাম্মদ মাসুদ চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামবাসীর পানি সমস্যা নিরসনে
‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২’
প্রকল্প এর আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেছেন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নে অবস্থিত ওয়াসার মেগা প্রকল্প শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম ওয়াসার উদ্যোগে চট্টগ্রাম রেডিসন ব্লু বে-ভিউতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাঙ্গুনিয়ার গোডাউনস্থ সরফভাটায় বাস্তবায়িত হয়েছে এ প্রকল্প। এর মাধ্যমে ওয়াসার পানি শোধনক্ষমতা বৃদ্ধি পেল দৈনিক আরও ১৪ কোটি লিটার।

চট্টগ্রাম প্রান্তে রেডিসন ব্লু বে-ভিউতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম,তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ ও মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রকৌশলী একে এম ফজলুল্লাহ।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বর্তমানে সেখান থেকে আট কোটি লিটার পানি উৎপাদন করা হচ্ছে। হালদার পানি শোধন করে সরবরাহ করা হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরে। এর আগেই উৎপাদনে গেছে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্পের প্রথম ইউনিট,যার মাধ্যমে ওয়াসার পাইপ লাইনে যুক্ত হয়েছে দৈনিক ১৪ কোটি লিটার পানি। দ্বিতীয় ইউনিটের দৈনিক পানি শোধনক্ষমতা ১৪ কোটি ৩০ লাখ লিটার।

নগরের পানির চাহিদার অর্ধেক পূরণের সক্ষমতাও ছিল না ওয়াসার। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর বড় বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর ফলে ওয়াসার দৈনিক পানি শোধনক্ষমতা উন্নীত হয়েছে ৫০ কোটি লিটারে।

এ বিষয়ে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প-২ এর পরিচালক ও ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, রাঙ্গুনিয়ার শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প-২ ওয়াসার সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প। রাঙ্গুনিয়ার গোডাউনস্থ সরফভাটা এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে পানি উত্তোলন করে পরিশোধনের পর পাইপলাইনের মাধ্যমে নাসিরাবাদে রিজার্ভার এবং হালিশহরে এলিভেটেড ট্যাংকের মাধ্যমে গ্রাহকদের মাঝে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প-২ প্রতিষ্ঠার ৫৬ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসার সবচেয়ে বড় প্রকল্প। জাপানের জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয় চার হাজার ৪৯১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকা তিন হাজার ৬২৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকার ৮৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম ওয়াসা ২৩ কোটি সাত লাখ টাকা অর্থায়ন করে।

রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে পানি উত্তোলন করে পরিশোধনের পর চট্টগ্রাম শহরে সরবরাহ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৬ সালে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। তিনটি প্যাকেজের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

প্যাকেজ-১-এর অধীনে ইনটেক ও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ, নাসিরাবাদে রিজার্ভার এবং হালিশহরে এলিভেটেড ট্যাংক নির্মাণ করা হয়। প্যাকেজ-২-এর অধীনে ট্রান্সমিশন ও কনভেয়েন্স পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়। এখন প্যাকেজ-৩ এর অধীনে নগরীর পুরাতন পাইপলাইনের পরিবর্তে নতুন পাইপলাইন বসানো হচ্ছে

শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার দ্বিতীয় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে জাপানের সংস্থা জাইকা, বাংলাদেশ সরকার এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী
জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম,এম‌পি-কে আন্তরিক অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

     এই বিভাগের আরও খবর